আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সমর্থন কামনা নৌপরিবহন উপদেষ্টার

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সমর্থন কামনা নৌপরিবহন উপদেষ্টার

 

বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটেগরি-সি এর সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে আইএমও-এর সদস্যরাষ্ট্রসমূহের সমর্থন কামনা করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

 

উপদেষ্টা গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য আইএমও কাউন্সিল নির্বাচন বিষয়ে ব্রিফিংকালে এ সমর্থন কামনা করেন।

 

বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম কান্ট্রি উল্লেখ করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন একটি গভীর সমুদ্রবন্দর ছাড়াও তিনটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। চুয়ান্নটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিভিন্নভাবে মেরিটাইম সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়েও অবদান রাখতে আইএমও’র আসন্ন কাউন্সিল নির্বাচনে সদস্যপদে (ক্যাটেগরি-সি) বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। এ সময় তিনি এ নির্বাচনে আইএমও এর বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি কূটনীতিকদের বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জাহাজশিল্পের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও দক্ষ নাবিকগণকে বাংলাদেশের একাডেমিগুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। তিনি আরো বলেন,  বাংলাদেশের নাবিকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাহাজে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশের নারী নাবিকেরাও অত্যন্ত দক্ষ ও সম্ভাবনাময়।

 

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন,  বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশই সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে মেরিটাইম সেক্টরকে  একটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সেক্টরে রূপান্তরিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জাহাজ পুনর্ব্যবহার খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি আসন্ন  আইএমও নির্বাচনে কূটনীতিকদের বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান।

 

ব্রিফ্রিংকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদ আল সিয়াম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও আইএমও-তে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্হায়ী প্রতিনিধি আবিদা ইসলাম-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সূত্রঃ পিআইডি